আমাদের ভাবটা হলো এমন, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দায়িত্ব শুধু বিরোধীদলের। আর আমার আপনার দায়িত্ব হচ্ছে, ঘরে বসে চায়ের কাপে ঝড় তোলা। সমালোচনা করা। বিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা শুনে হাসি তামাশা করা।
এভাবেই চলছে বছরের পর বছর। যে কোনো একটা বড় অঘটন ঘটে গেলে কিছুদিন নিরাপদে ফেসবুকীয় আন্দোলন চলে। এরপর আরেকটা ইস্যু আসে। আগেরটা হারিয়ে যায়। কিন্তু এসব অন্যায় অনাচারের মূল আশ্রয় প্রশ্রয়দাতার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলে না।
যতদিন পর্যন্ত মানুষ সমস্যার মূলে আঘাত না হবে। বিচ্ছিন্ন এসব ঘটনার পিছনের না পরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে না হব, ততোদিন পর্যন্ত এই পরিণতিই ভোগ করতে হবে। এর চেয়ে ভালো আশা করা অন্যায়।
বিরোধীদল গুলো আমাকে আপনাকে ডাকতে ডাকতে ক্লান্ত হয়ে গেছে। আমি আপনি জালিমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো এই আশায় কত আন্দোলনের ঘোষণা হয়েছে। আমরা সাড়া দেইনি। আর আন্দোলনের ঘোষণাও আসে না। এখন খুশি তো?
এখন খারাপ লাগে কেন? এখন কেনো কাঁদতে ইচ্ছা করে? এটাই আমাদের অনিবার্য পরিণতি।