গতকাল রুপগঞ্জে শায়খ আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ সাহেবের মাদরাসার কয়েকশো গজ দূরে যুবকদের উদ্যোগে মাহফিল ছিল৷ শায়খ লুৎফুর রহমান ফারায়েজি এবং আমি আলোচক হিসেবে সে মাহফিলে অংশগ্রহণ করি৷
এশার পর মাহফিলস্থলে উপস্থিত হয়ে পুরো থমথমে পরিবেশ দেখতে পাই৷ আহলে হাদিস ভাইরা কোনভাবে মাহফিল করতে দিবেন না৷ ফারায়েজি এবং আবরারকে তারা দেখে ছাড়বেন৷
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রথমে আমার সাথে দেখা করে স্বাভাবিক কথা বলার অনুরোধ করেন৷ আমি বলেছি, যেহেতু আপনাদের এলাকায় কয়েকদিন পর পর কনফারেন্স করে আমাদের নামে অপপ্রচার ছড়ানো হয়৷ সেহেতু আমাদের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন৷ অন্তত আমাদের আমলের দলিল মানুষের জানার প্রয়োজন আছে৷
ফারায়েজি সাহেব এবং আমি উভয়ে গাড়িভরে কিতাব নিয়ে গিয়েছিলাম৷ কিন্তু জনপ্রতিনিধির অনুরোধে কেউই কিতাব স্টেজে নিই নি৷
আমি রাত নয়টায় বয়ানে বসি৷ প্রথমে হায়াতুন নবি, তারপর শবে বরাত এবং শেষে মাজহাবের বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা বলি৷ শেষে একথাও বলে এসেছি যে, এ বিষয়গুলো নিয়ে যদি কেউ বিতর্ক করতে চান, তাহলে আমরা তাকে স্বাগত জানাব৷ নিরপেক্ষ যে কোন জায়গায় বসে আমরা সমাধান করে নিব৷ আপনারা এগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না৷
ফারায়েজি সাহেব দশটার দিকে স্টেজে যান৷ আয়োজকরা আমাকে প্রশ্নোত্তর পর্ব করার অনুরোধ করেছিলেন৷ কিন্তু শায়খ চলে যাওয়ায় আমি বয়ান সংক্ষিপ্ত করে নেমে পড়ি৷
ফারায়েজি সাহেব স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা শুরু করেন৷ আমি দেরি না করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে পড়ি৷ স্থানীয় যুবকদের কাফেলা মটর সাইকেলে করে আমাকে এশিয়ান হাইওয়ে পর্যন্ত এগিয়ে দেয়৷
ঢাকার কাছাকাছি এসে খবর পাই মাহফিলে আহলে হাদিস ভাইরা তুমুল মারামারি করেছেন৷ ফারায়েজি সাহেবকে মারতে চেয়েছেন৷ স্থানীয় মসজিদের ইমাম আমিনুল ইসলাম সাহেবকে পিটিয়েছেন!
প্রিয় উগ্র সালাফি ভাইয়েরা! আপনাদের শক্তি ছিল৷ এজন্য ইমাম সাহেবকে পিটিয়েছেন এবং মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছেন! আপনাদের মিথ্যাচার এবং জালিয়াতির মুখোশ তো ইতিমধ্যে খসে পড়েছে৷ অপেক্ষা করুন৷ সময় কথা বলবে৷
ফেসবুক টাইমলাইন: রেজাউল করিম আবরার